মঞ্জুশ্রী রায়চৌধুরী
যা
জীবনে পেয়েছি তা পেতে-পেতে বিশ্বাসে এটাই বসে গিয়েছিল আরো পাবো, আরো
পাবো, অনেক পাওয়াই আমার ন্যায্য হিসেব। যা না মিলতেই
অস্থিরতা, অপ্রাপ্তির একশো কাহন, একাকীত্বের কাঁদুনী। ভেবে দেখলে
দেখি কেউ কী কখনো সত্যি ছিল কাছে? যতদিন
জড়-ভরত মত ছিলাম, মার কোলে-কাঁখালে, উঠোন জুড়ে একলা খেলায়, সে সময়টুকুই স্বার্থহীন গভীর, নিবিড়,
অন্তহীন
আনন্দস্বরূপে মা শুধু মা এবং মা। ঈশ্বর নিজের
ছোঁয়া দিতেই ‘মা’ হয়ে জন্মেছিল ধরায়। যত ক্ষুদ্র হোক্, সেই স্নেহটুকুর আস্বাদ আজো উষ্ণতায় ’বিভাবরী।’
বাকী? না, না। আর তো কোনোখানে নয়, কারু কাছে নয়, অনু পরিমাণ মাপেরও নয়। শ্রেষ্ঠতম অনুভবে আছি বলে আহ্লাদিত ছিলাম যা নিয়ে, যে’সব নিয়ে, তা ফাঁকি ছিল, মায়া ছিল, অবোধ মনের উচ্চতম দিশায় ছিল ঘর। বোধীর পরেই তাই দিশাহারা হতে সময় লাগলো না। অকুলপাথারে মন পবনের নাও টালমাটাল। এ নিয়তি কী একলা আমার? হয়তো.... হয়তো নয়!
আজ আমি আমার ক্ষেত্র দিয়ে, আমার বাঁচার সবটা দিয়ে বুঝি- সবারই স্বার্থ ছিল, আমারও ছিল, তাই জুড়ে ছিলাম.....’আছি-আছি’-র ভানে ছিলাম। তাসের খেলায় টোয়েন্টি-নাইন বলে যে খেলাটা আছে তার মতন আমি ’আছি-আছি’ চালিয়ে যাচ্ছি বলেই সত্যি আছি নাকি? নেই, নেই। হয়তো কিছু কম-বেশীতে সব্বাই... সবার কাছেই। খালি এখন আমি বললাম- এই যা। হাতের তাস ফেলতে বললেই কেলেংকারীর কালো রঙে কালচে হবে মুখ। এই ‘স্বার্থবোধ’-কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এ অনেকটা পেখম তোলা ময়ূরের ‘কেও-কেও’ গান শুনিয়ে, নাচ দেখিয়ে মুগ্ধতার ফেরে ফেলার মতন। শিকারীর এক গুলিতে এই মুগ্ধতাই যখন চোখ থেকে রক্ত ঝরিয়ে, ঘাড় লটকিয়ে, শিকারীর বোঁচকায় একতাল মাংস হয়ে পড়বে, তখন পাখীটাকে কী আর ময়ুর বলে চেনা যাবে?
আমি তাই বুঝলাম, নিজেকে যা দিতে আমি পারছি, পারি, আমার প্রাপ্য সেটাই। বাকী যা কিছু স-ব বোনাস, উপরী। পেলে পেলাম, না পেলে যা পেয়েছিলাম, তাকেই গুছিয়ে বুকে তুলি। ব্যস্। কেউ দেয়না কিচ্ছু, কেউ না.... সত্যি যা আমি চাই। আমার সে’সব পাওনাগন্ডা আরো গাড্ডায় যাতে গড়িয়ে না যায় এখন সেটাই দেখার, সেটাই আমার সামলানোর। ঐ বোনাস ঐ ধন, অর্জিত ঐ উপরী।
বাকী? না, না। আর তো কোনোখানে নয়, কারু কাছে নয়, অনু পরিমাণ মাপেরও নয়। শ্রেষ্ঠতম অনুভবে আছি বলে আহ্লাদিত ছিলাম যা নিয়ে, যে’সব নিয়ে, তা ফাঁকি ছিল, মায়া ছিল, অবোধ মনের উচ্চতম দিশায় ছিল ঘর। বোধীর পরেই তাই দিশাহারা হতে সময় লাগলো না। অকুলপাথারে মন পবনের নাও টালমাটাল। এ নিয়তি কী একলা আমার? হয়তো.... হয়তো নয়!
আজ আমি আমার ক্ষেত্র দিয়ে, আমার বাঁচার সবটা দিয়ে বুঝি- সবারই স্বার্থ ছিল, আমারও ছিল, তাই জুড়ে ছিলাম.....’আছি-আছি’-র ভানে ছিলাম। তাসের খেলায় টোয়েন্টি-নাইন বলে যে খেলাটা আছে তার মতন আমি ’আছি-আছি’ চালিয়ে যাচ্ছি বলেই সত্যি আছি নাকি? নেই, নেই। হয়তো কিছু কম-বেশীতে সব্বাই... সবার কাছেই। খালি এখন আমি বললাম- এই যা। হাতের তাস ফেলতে বললেই কেলেংকারীর কালো রঙে কালচে হবে মুখ। এই ‘স্বার্থবোধ’-কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এ অনেকটা পেখম তোলা ময়ূরের ‘কেও-কেও’ গান শুনিয়ে, নাচ দেখিয়ে মুগ্ধতার ফেরে ফেলার মতন। শিকারীর এক গুলিতে এই মুগ্ধতাই যখন চোখ থেকে রক্ত ঝরিয়ে, ঘাড় লটকিয়ে, শিকারীর বোঁচকায় একতাল মাংস হয়ে পড়বে, তখন পাখীটাকে কী আর ময়ুর বলে চেনা যাবে?
আমি তাই বুঝলাম, নিজেকে যা দিতে আমি পারছি, পারি, আমার প্রাপ্য সেটাই। বাকী যা কিছু স-ব বোনাস, উপরী। পেলে পেলাম, না পেলে যা পেয়েছিলাম, তাকেই গুছিয়ে বুকে তুলি। ব্যস্। কেউ দেয়না কিচ্ছু, কেউ না.... সত্যি যা আমি চাই। আমার সে’সব পাওনাগন্ডা আরো গাড্ডায় যাতে গড়িয়ে না যায় এখন সেটাই দেখার, সেটাই আমার সামলানোর। ঐ বোনাস ঐ ধন, অর্জিত ঐ উপরী।
14 comments:
মনটা ছিলো খারাপ, তুমি দিলে বোঝার উপর শাকের আঁটি। কষ্টে মাখা তবু কোথায় যেন ভালোলাগা উপরী ।
bhabiye tulle tumi..amon akta somoi tomar ei lekha porchi jokhon amar saradiner songi amar 'bhabna'.. ami r amar bhabna ei 2toi boro beyara.. dui pagol aksathe baas kori kintu k besi pagol ta bolte parbo na.. ei 2er modhe protijogita jemon ache temon abar ake onyeke chara cholteo pare na.. tomar lekha amar bhabna k aro bariye tulbe bujhte parchi....khub bhalo likhecho
চৈতী, তুমি সব ব্যাপারে এত সচেতন, এতই অনুভবী, প্রতিক্রিয়াশীল, যে এমনজন সর্বত্রই সম্পদের মত। মন্তব্যে আমি ধনী হলাম গো।
সুচেতনা, আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম তোমার লেখা পড়ে| 'কাছে থেকে দুর রচিলে...' গানটা মনে পড়ে যাচ্ছে| এতদিন কাছে ছিলে, অন্ততঃ ইন্ডিয়ায়... তখন ডেকে-ডেকে পাইনি, অথচ দূর সিনসিনাটির সুচেতনা আজ ম্যামের সাথে গপ্পগাছায় মনফসলে| প্রথমেই জানাই এ বাবদে আমি মাত্রা ছাড়া খুশী | তবে বলারও আছে| আমার কাছে অনেক প্রাপ্তি এসেছে, যাকে আমি সঠিকভাবে চিনিনি বলে হারাইনি- বরং সেই সময়টুকু পেয়েছি, সুখে থেকেছি| তুমি বলবে 'ও ছিল সাজানো হিসেব|' জানি, জানি, আমিও জানি তা| এমন কি পরে সেসব ভ্রান্ত জেনে ভেঙ্গে পড়েছি সর্বাংশে, ইচ্ছে করেছে জীবন থেকে মুখ ফেরাতে| তবু বলব, না জানার মধ্যে যে সুখের হিসেব আছে তা পাওয়াটা জরুরী, তাত্ক্ষণিক হলেও| অন্ততঃ আমার আগের প্রজন্মে থাকা মানুষজনের ও সুচেতনার| অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায় যেমন, কাড়েও তেমন| কত ছোট-ছোট সুখের হিসেবকে কষ্টিপাথরে মাজতে গিয়ে ঝামা বার করে ফেলি, যা কাঙ্খিত নয়| তুমি সবে দিন শুরু করেছ আর আমার ভরা দুপুর| আমি পোড় খেয়েছি বলেই তোমাকেও পোড় খেতে হবে এমন কথা নেই| এই 'উপরী'কে পড়েটড়ে উঠে যাও, সোজা তাকাও গানে, গীটারে আর নব্য পাওয়া ভবিষ্যতের পথে... ব্যস| অন্তরে বসিয়ে ফেলোনা কথা... সব কিছু টকো লাগবে যে| আমি এ্যান্টাসিড খেয়ে-খেয়ে পোক্ত হয়ে গেছি, তাতে আর কাজ হয়না যখন তখন লিখেছি| অল্পবয়সে ঘাঘু হতে হবেনা রে মেয়ে... সুখ ক্ষণিকের| সে ছদ্মবেশে এলেও আসতে দাও... জাপ্টে নাও| একদিন জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষায় হয়তো জিতবে... আমার সঙ্গে তখন না মিলতেই পারে বোধ| তাই বলি, লেখাটা খালি পড়ার জন্যই পড়ো, নিজের জীবনকে নিজের চেনায় চেনো... অন্যের চেনানোয় নয়|
tomar phylosophy towards life osadharon..ei je tumi bolle sukh chhodmobeshe eleo take aste dao- ei kotha ta ato bhalo bolle j ki bolbo..tobe shukh ki sobsomoi bastober chehara niyei ase?? jodi bastobe theke jay odhora, tobe bhabnar modhye diyeo ki se sukh aste pare na?? ami to boli bhabna manush k je sukh( ba duhkho) dite pare ta bastob o onek somoi pare na.. se jonyoi to j manush bhabnay pagol hoi sei abar kothin bastob keo samle nei.. tai to amader desher akjon por khaoa dariwala debtullo buro lok onek din age bole gechen -''tai bhabnar jonyei bhabna hoi''..
r amar bhabnay to gaan-bajna-guitar sob milemishe ekakar..amar se sundar swapno makha fantasy er jogot k ami jani.. r keu januk ba nai januk.. se jogot amay oxygen jogay. tai se jogot sotti ki mithye ta niye ami bhabi na.. kajei end of the day ami tomar sathe akmot.. shukh sotti hok ba mithye, bastob hok ba bhabnaa.. take aste dao..
পারে পারে, ভাবনার মধ্যে দিয়েও আসতে পারে সুখ। তবে তার গড়ন কেমন, স্বপ্ন দিয়ে জাল বিনুনীর ধরণ কেমন- নির্ভর করছে সেই সবটার ওপর। + আর - বলে যে দুটো সাইন আছে, আমাদের মনোজগত্ নিয়ে তাদের খেলাধুলো কম নয়। কখন যে ইতির থেকে নেতিতে নিয়ে নেয়... আমি জানি, সুখস্বপ্ন ও সুখী ভাবনাই মানুষকে প্রত্যয়দৃঢ করে, নিজেকে স্বপ্নের সৌধটিতে ধীরে নিয়ে গিয়ে বসায়। এরপরেও 'তবু' আছে এবং আছেই। ক'জন পারে স্বপ্ন ও যুক্তিযুক্ত পরিপ্রেক্ষিতের মধ্যের সেই সীমারেখাটিকে চিনতে! বিবেচনা ও দৃঢতাকে ধরে রেখে যে পারলো সে বাঁচল আর যে হারল সে স্বপ্নকেই বাসর ভেবে নিরুপদ্রব বসবাসে মন দিল। এই দ্বিতীয় ধরণের মানুষ বড় অভাগা সুচেতনা- কারণ স্বপ্ন তখন অলীক হতে সময় নেয়না। মাঝখান থেকে সুখী মানুষটি হারাল 'সময়'। এটাৈএএটা চা এটা
এটা চাইনা, এটা চাইনি কোনোদিন, কারুজন্য। এ' সবটা শুধু বলার জন্য বলা- ভাবনা উজাগর প্রশ্ন এলো বলেই। তোমাকে কিছু বোঝাতে নয়। কেননা সুচেতনার চেতনা নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই। গুণীজনের প্রধান জোর তার তূণে আছেই, তাকে রেকগনাইজ করা ও জায়গা বুঝে তার ব্যবহারটুকুর জন্যই শুধু অপেক্ষা করা- ব্যস্, আর কি!
মনের কথা পড়তে পারাটা ও আমার উপরি পাওনা...
ek rash mugdhota ...
আর্শী, কতদিন বাদে তোমায় আবার পেলাম... আমি খুশী, খুব খুশী। ছবিপত্র রাখবে না?
কে তুমি? কেন আননোন? সত্যি মুগ্ধতায় গেছ যদি সে মুখ আমায় দেখতে দাও। প্লীজজজজজজজজজ
তোমার লেখা "উপরী" পড়লাম---
"আমি বুঝলাম, নিজেকে যা দিতে আমি পারছি, পারি, আমার প্রাপ্য সেটাই। বাকী যা কিছু স-ব বোনাস, উপরী। পেলে পেলাম, না পেলে যা পেয়েছিলাম, তাকেই গুছিয়ে বুকে তুলি। ব্যস্। কেউ দেয়না কিচ্ছু, কেউ না.... সত্যি যা আমি চাই।"
এই লেখার উপরী পাওনা বলতে আমার নিজের জীবন দর্শনের সাথে অনেকটাই মিল খুঁজে পেলাম। তোমার লেখা "কৈফিয়ত"এর পরিপেক্ষিতে আমি তোমাকে লিখেছিলাম "এই ভবো সংসারে কেউ কারো নয়"...যা কিছু চাওয়া পাওয়া সবই ফ্রি গিফট হিসেবে পাওয়া, আর ফ্রি মালের উপর আমাদের কোনো হাত নেই। পেলে ভালো না পেলেও কষ্ট নেই, এটা যদি একবার মেনে নেওয়া যায় তাহলে জীবন দর্শনটাই বদলে যায়।
তুমি আরো লিখেছো --- "নিজের জীবনকে নিজের চেনায় চেনো... অন্যের চেনানোয় নয়"
এ ব্যাপারেও আমি একমত - সেটাও আমি একটু অন্যভাবে জানিয়েছিলাম তোমার "জীবন নিয়ে লোফালুফি" লেখাটা পড়ে - "ঐ সব জায়গা নিজের চোখে না দেখলে ঠিক অনুভব করা যায়না, তাই আমার ভ্রমন করতে ভালো লাগলেও অন্যের ভ্রমন-কাহিনী পড়তে খুব একটা ভালো লাগে না।" এটা জীবনের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযজ্য, আমি নিজের জীবনকে নিজের চোখ দিয়ে দেখতে চাই, চিনতে চাই অন্যের চোখ দিয়ে নয় বা অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে নয়। তাই আমি তথাকথিত কোনো 'বাবা' বা 'মা' বা 'গুরুদেবে' বিশ্বাসী নই।
যাই হোক লেখাটা খুব ভালো হয়েছে - দিন কয়েক আগে আমরা(আমি ও আমার অর্ধাঙ্গিনী)একটু পাহাড়-পর্বতে বেড়াতে গেছিলাম - Deharadun-Rishikesh-Devprayag-Rudraprayag-Joshimath-Ukimath-Auli-Chopta-Tehere Dam-Dhanaulti-Mussorie প্রভৃতি ঘুরে এলাম, দারুন লাগলো, প্রচুর বরফও দেখালম অনেক ফটো তুলেছি। তবে তোমার মতো লিখতে পারিনা, নইলে জমিয়ে একটা ভ্রমন-কাহিনী লিখে ফেলতাম।
দাদা, বহুদিন পরে এলেন ও পড়ে মন্তব্য করলেন- যা আপনার ধারণার সঙ্গে যথাযথ জেনে ভাল লাগল খুব। আপনি বেড়াতে গিয়েছিলেন ও পাহাড়ে বিশেষতঃ... এই লেখা তো চাই-ই, চাই। 'লিখতে পারিনা'-র বাহানা আর ধোপে টিকছে না। এই ব্লগের পপুলার পোস্ট জানাচ্ছে- আপনার লেখা 'মানুষ বনসাই' এক নম্বরে। এটা কি না লিখতে পারাৱ খবর? এই ফাঁকে একটা আন্তরিক কথা জানাই। আমার ব্লগে আমারই গল্প 'স্বপ্নপথ বেয়ে' যখন বহুদিন এক নম্বরে দাঁড়িয়েছিল তখন মনে-মনে বেশ আত্মপ্রসাদে ছিলাম। কি বনব, কিছুদিন হল তাতে (ছোট্ট করে হলেও) একটা ধাক্কা কিন্তু লেগেছে। মনে-মনে একটু ঈর্ষা যে না করেছি তাও নয়। অবশ্য সামলেও নিয়েছি এই ভেবে যে এটা মনফসল-এর লেখা, যে 'মনফসল' আমার স্বপ্নসন্তান। তার যা কিছু ভাল, তা অন্যঅর্থে আমারই ভাল। যা হোক্, অনেক বাজে বকলাম। মোদ্দা কথা 'লিখতে পারিনা'-র ওজর চলছে না, চলবে না।
"মনফসালে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান -
(পাবলিক)গ্রহন করেছে যত ঋনী তত করেছে আমায়।"
তোমার ওই কবিতাটা না পড়লে ঐ লেখাটা বেরতোই না। এটাতো আমি খেয়ালই করিনি আজ তুমি বললে তাই দেখলাম। এটাও উপরী পাওনা, তাই খুশি হাওয়াই স্বাভাবিক, তবে আমার মতে তোমার 'স্বপ্নপথ বেয়ে' অনেক বলিষ্ট এবং দিনোপযোগী লেখা, ওটা দেশে বেরিয়েছে তাই ওটার মূল্য অনেক,আমার লেখা আর কজন পড়েছে। সত্যি কথা বলতে কি লিখতে যে ইচ্ছে করেনা বা লেখার ভাবনা আসেনা তাও নয়, কিন্তু ভাবনাগুলোকে পাকড়াও করে কাগজে ধরে রাখতে পারিনা - মশাদের মতো কানের কাছে পিনপিন করে কিন্তু ধরতে গেলেই পালিয়ে যায়। মশা মেরে ফেলার অনেক উপায় আছে বটে কিন্তু মশাদের ধারার কোনো পদ্ধতি এখনো জানা নেই তাই বেশিরভাগ সময়েই ভাবনাগুলোর অকাল মৃত্যূ ঘটে। তাছাড়া এখন সময়েরও একটু অভাব রয়েছে, তবে আর বেশিদিন নয়, ৩৫ বছরের কয়দি জীবন থেকে মুক্তি হতে আর মাত্র ৫ মাস বাকি। তারপর অফুরন্ত সময়,তবে তখন আবার ভাবনাগুলো ফুরিয়ে যাবে কিনা জানা নেই, যদি থাকে তাহলে লেখার চেষ্টা নিশ্চই করবো।
ছিলাম না, গিয়েছিলাম আগরতলা... বেড়াতে। আজ ফিরেছি ও আপনার লেখা পড়ে মন্তব্যে এলাম। আমারও একই ঘটনা... হঠাত্-হঠাত্ই ভাবনা আসে ও ঠিকঠাক সময়ে তাকে ধরতে না পারলাম তো গেল। যা লিখি, তার সবই লিখতে বসে যা উজিয়ে আসে তাই। চকিত ভাবনার যে তেজ, তা সম্পূর্ণ তা'তে অনুপস্থিত থাকে। কি আর করার, এটাই বিধিলিখন... এটাই মানিয়ে নিয়ে চলা...
Post a Comment